কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ০৭ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে ইঁদুর ধরুন, ইঁদুর মারুন; ইঁদুর মুক্ত খামার গড়–ন এ প্রতিপাদ্য নিয়ে ফার্মগেটস্থ আ. কা. মু. গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটরিয়ামে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০১৫ এর উদ্বোধন ও ২০১৪ এর পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, মাননীয় মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব জনাব শ্যামল কান্তি ঘোষ।
প্রধান অতিথি বলেন, ইঁদুর যে শুধু ফসলের ক্ষতি করে তাই নয়, এরা আসবাবপত্র, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক প্রভৃতির ক্ষতি করে। বৈদ্যুতিক তার ও যন্ত্রপাতিও ইঁদুরের হাত থেকে রেহাই পায় না। এ বছর ইঁদুর দ্বারা প্রায় ৭২৪ কোটি টাকার ধান, চাল ও গম ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ইঁদুর মানুষের ব্যক্তিগত এবং জাতীয় সমস্যা। ইঁদুর শুধু ফসলের ক্ষতি করে করে না এটা মানব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরুপ এবং ক্ষতিকর জীবানুর বাহক হিসেবে কাজ করে। ফসলসহ মূল্যবান সম্পদ রক্ষার্থে ইঁদুর নিধন কার্যক্রমকে সামাজিক আন্দোলনে রুপ দিতে হবে। সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বাধাদানকারী ইঁদুররুপি শত্রুদেরকে সামাজিকভাবে প্রতিহত করা এবং পরিবেশবান্ধব কৃষি এবং কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
ইঁদুর নিধন অভিযান ২০১৫ উপলক্ষে র্যালী ও অডিটরিয়াম চত্বরে মেলার আয়োজন করা হয় এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশগ্রহন করে। এ অনুষ্ঠানে ইঁদুর নিধন অভিযান ২০১৪ সালের জাতীয় পর্যায়ে ৩ জন কৃষক, ৩ টি জেলা, ৩ জন উপসহকারি কর্মকর্তা, ৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তিনটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নগদ অর্থ, ক্রেষ্ট ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। এছাড়াও ঢাকা অঞ্চলের ৬ টি জেলার ১ জন করে কৃষক, ৩ জন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা, ১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ১টি উপজেলাকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের মূল বিষয় উপস্থাপন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. মঞ্জুরুল হান্নান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ মো. আবুল কালাম আজাদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন বিভিন্ন অধিদপ্তর/সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বরেন্য কৃষিবিদ, কৃষিবিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী, গবেষক, কৃষক-কৃষানী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন।